মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় রাজ্য ব্যাপী কৃষক বন্ধু (নতুন )প্রকল্পে চলতি খরিফ মরসুমের জন্য সহায়তা প্রদানের শুভরম্ভ করলেন। ১ কোটি ৯ লক্ষ্যের বেশি কৃষক ও বর্গাদার ২৯৩০ কোটি টাকা তাঁদের ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি পাবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির ২০তম কিস্তি প্রকাশ করবেন ৯.৭০ কোটিরও বেশি সুবিধাভোগী কৃষকের কাছে ২০,৫০০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ স্থানান্তর করা হবে ২রা আগস্ট ২০২৫ সরকারি ভর্তুকিতে 2025-26 বর্ষের কৃষি যন্ত্রপাতির ছাড় দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতির ওপর, তার মধ্যে বিশেষ আকর্ষণ সৌরশক্তি পাম্প সোলার পাম্প। সর্বাধিক ৬০% ভর্তুকি রয়েছে। বিশদ জানতে আপনার নিকটবর্তী কৃষি দপ্তরের যোগাযোগ করুন বি :দ্রঃ -অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া সম্ভবত অগাস্ট থেকে শুরু হবে,,, পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের জন্য সেরা আলুর বীজের তালিকা: ফলন, প্রতিরোধ ও বিশ্লেষণ

Latest News

পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের জন্য সুখবর! পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষকবন্ধু প্রকল্পের পরবর্তী কিস্তির টাকা এই জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকতে শুরু করবে। যাঁরা এই প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত করেছেন, তাঁদের টাকা সময়মতো পৌঁছানোর জন্য সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

Labels Max-Results No.

পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের জন্য সেরা আলুর বীজের তালিকা: ফলন, প্রতিরোধ ও বিশ্লেষণ


পশ্চিমবঙ্গে আলুর উন্নত জাতের মধ্যে কয়েকটি বেশ জনপ্রিয় ও উৎপাদনক্ষম, যা বিভিন্ন জেলার কৃষকদের জন্য ফলন বৃদ্ধি এবং রোগ প্রতিরোধে কার্যকর। পশ্চিমবঙ্গে চাষযোগ্য কিছু উৎকৃষ্ট আলু জাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল:

  1. কুফরি জয়ন্তী: এই জাতটি খরা এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধী। এটি পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় এবং এর গড় ফলন প্রায় ৩০-৩৫ টন প্রতি হেক্টর পর্যন্ত হয়ে থাকে।

  2. কুফরি চাঁদ্রমুখী: এই জাতটি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপকভাবে চাষ হয়। এটি খাওয়ার উপযোগী এবং বাজারে এর ভালো চাহিদা রয়েছে। চাষের জন্য প্রায় ২৫-৩০ টন প্রতি হেক্টর ফলন পাওয়া যায়।

  3. কুফরি লালিমা: এই জাতটি লাল বর্ণের হওয়ায় এর কদর বেশ ভালো। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও উচ্চ ফলনের কারণে এটি কৃষকদের কাছে জনপ্রিয়।

  4. কুফরি পুখরাজ: এটি উচ্চ ফলনশীল একটি জাত, যা ভালো সাইজের আলু উৎপাদন করতে সহায়ক। গড় ফলন প্রায় ৩৫-৪০ টন প্রতি হেক্টর।

  5. কুফরি সুরিয়া: এটি উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল এবং সাধারণত সব ধরনের মাটিতে ভালো উৎপাদন দিতে সক্ষম।

আলুর উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বেশ কয়েকটি উন্নত জাত রয়েছে, যা উঁচু ফলন ও রোগ প্রতিরোধে কার্যকর। পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু ও মাটির উপযোগী কয়েকটি উৎকৃষ্ট আলুর জাত সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো:

1. কুফরি পুখরাজ

  • বিশেষত্ব: উচ্চ ফলনশীল এবং দ্রুত বর্ধনশীল জাত।
  • ফলন: গড়ে প্রায় ৩০-৩৫ টন প্রতি হেক্টর।
  • বৈশিষ্ট্য: মসৃণ এবং আকর্ষণীয় হলুদ ত্বকযুক্ত। খেতে মিষ্টি এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আলু চিপস এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাবারে ব্যবহৃত হয়।
  • রোগ প্রতিরোধ: এটি বেশিরভাগ ফাঙ্গাল এবং ভাইরাল রোগ প্রতিরোধী।

2. কুফরি চাঁদ্রমুখী

  • বিশেষত্ব: কুচি করায় ভালো এবং রান্নার জন্য উপযোগী।
  • ফলন: প্রতি হেক্টরে ২৫-৩০ টন ফলন।
  • বৈশিষ্ট্য: সাদা রঙের মসৃণ ত্বক এবং ঘন মাংসযুক্ত।
  • রোগ প্রতিরোধ: বেশিরভাগ ভাইরাল রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী এবং খরা সহনশীল।

3. কুফরি লালিমা

  • বিশেষত্ব: লাল রঙের এই আলুর গড় ফলন বেশ ভালো।
  • ফলন: প্রতি হেক্টরে ৩০-৩৫ টন।
  • বৈশিষ্ট্য: এটির লাল রঙের কারণে বাজারে ভালো চাহিদা রয়েছে, যা বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক।
  • রোগ প্রতিরোধ: ভাইরাস ও ছত্রাকজনিত রোগের জন্য প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি।

4. কুফরি সুরিয়া

  • বিশেষত্ব: তাপ সহনশীল এবং দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয়ের জন্য ভালো।
  • ফলন: ২৮-৩২ টন প্রতি হেক্টর।
  • বৈশিষ্ট্য: আলু বেশ মসৃণ এবং ভালো আকারের হয়, যা বাজারজাতকরণের জন্য উপযোগী।
  • রোগ প্রতিরোধ: এটি বিভিন্ন সাধারণ রোগ এবং গ্রীষ্মের তাপমাত্রায় ভালোভাবে টিকে থাকে।

5. কুফরি কিসান

  • বিশেষত্ব: সব ধরনের মাটিতে দ্রুত বর্ধনশীল।
  • ফলন: গড়ে ২৮-৩০ টন প্রতি হেক্টর।
  • বৈশিষ্ট্য: এটি প্রায়শই সবজি ও বাজারজাতকরণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • রোগ প্রতিরোধ: উচ্চ আর্দ্রতা সহ্য করতে পারে এবং বেশিরভাগ রোগ প্রতিরোধে সক্ষম।

এই জাতগুলো পশ্চিমবঙ্গে কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় কারণ এগুলোর ফলন ক্ষমতা উচ্চ এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কার্যকর। কুফরি পুখরাজ এবং কুফরি চাঁদ্রমুখী জাতগুলো বিশেষভাবে জনপ্রিয়, কারণ এদের উচ্চ ফলন ও দ্রুত বর্ধনশীল বৈশিষ্ট্য আছে, যা রাজ্যের জলবায়ুতে মানানসই।

সেরা মানের ওষুধ:

আলু চাষের ক্ষেত্রে রোগ এবং পোকামাকড় দমন করতে কিছু উন্নতমানের কীটনাশক এবং ছত্রাকনাশক ব্যবহার করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে ব্যবহৃত কয়েকটি সেরা কীটনাশক ও ওষুধ হলো:

  • ম্যানকোজেব: দাগ ও ছত্রাকজনিত রোগের জন্য।
  • মেটালাক্সিল: রাইজোকটোনিয়া ও আলু পাতার দাগের জন্য।
  • ক্লোরপাইরিফস: আলুর পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কার্যকর।
  • ফিপ্রোনিল: আলুর বিভিন্ন ক্ষতিকারক পোকার বিরুদ্ধে কার্যকর।

এই উন্নত জাতের আলু এবং সঠিক ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা আলুর ফলন বাড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধে সফল হতে পারেন।

আলুর ঢোসা রোগ (Late Blight) পশ্চিমবঙ্গে আলু চাষের জন্য একটি বড় সমস্যা। এই রোগ সাধারণত ছত্রাক Phytophthora infestans এর কারণে হয়ে থাকে, যা ঠান্ডা ও আর্দ্র আবহাওয়ায় দ্রুত ছড়ায়। এই রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশ কয়েকটি ওষুধ কার্যকর হতে পারে:

  1. ম্যানকোজেব (Mancozeb): এটি একটি সাধারণ ছত্রাকনাশক যা ঢোসা রোগ দমনে কার্যকর। ২.৫ গ্রাম প্রতি লিটার জল মিশিয়ে স্প্রে করা হয়। এটি প্রতিরোধমূলক হিসেবে ব্যবহার করা হয় এবং প্রাথমিক পর্যায়ে এটি কার্যকর।

  2. মেটালাক্সিল (Metalaxyl): এটি প্রাথমিক পর্যায়ে ঢোসা রোগ প্রতিরোধে কার্যকর। ম্যানকোজেবের সাথে মিশ্রিত করে ব্যবহার করা হলে এটি আরও কার্যকর হয়।

  3. কপার অক্সিক্লোরাইড (Copper Oxychloride): এটি প্রায়ই ঢোসা রোগ প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয়। প্রতি লিটার পানিতে ৩ গ্রাম করে স্প্রে করা হয়। এটি ফসলের পাতা এবং কাণ্ডকে ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

  4. সাইমোক্সানিল + ফ্যামক্সাডোন (Cymoxanil + Famoxadone): এটি ঢোসা রোগের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি দ্রুত কাজ করে এবং ছত্রাকের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে।

  5. ফেনামিডোন + ম্যানকোজেব (Fenamidone + Mancozeb): এটি একটি সংমিশ্রণ ছত্রাকনাশক যা ঢোসা রোগ দমন করতে অত্যন্ত কার্যকর। আলুর গাছে নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ করা যায়।

ব্যবহার বিধি: এই ছত্রাকনাশকগুলো ব্যবহারের সময় অবশ্যই সঠিক ডোজ এবং ব্যবধান বজায় রাখা উচিত। প্রতি ৭-১০ দিন পর স্প্রে করতে হবে এবং বর্ষার সময় আরও সতর্ক থাকতে হবে।

কৃষি বিভাগের স্থানীয় নির্দেশিকা অনুসরণ করে ও প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে এই ওষুধগুলো ব্যবহার করলে আলুর ঢোসা রোগ দমন করা সহজ হয় ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের জন্য সুখবর! পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষকবন্ধু প্রকল্পের পরবর্তী কিস্তির টাকা এই জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকতে শুরু করবে। যাঁরা এই প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত করেছেন, তাঁদের টাকা সময়মতো পৌঁছানোর জন্য সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!